
একি চলছে রাজ্যে, যারা মানুষ তৈরি করছে তাদের দিকেই লাঠি উঠিয়ে তেরে আসছে তথাকথিত পুলিশ সমাজ। এই ঘটনা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে এখানে অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে কোনরকম ভাবে শিক্ষার দাম নেই। বারবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক, শিক্ষা সচিবের সঙ্গে বৈঠক, শিক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক এই সমস্ত করার পরও কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। যদিও বর্তমানে এই ঘটনা বিচারাধীন রয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১৬ সালে যে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছিল সেই পরীক্ষায় বিস্তর গলদ ধরা পড়ে। আর সেই গলদ ধরা পড়ার পরে কোর্টের নির্দেশে সকলকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় যার জন্য চাকরি করতে করতেও তাদেরকে স্কুল থেকে এক প্রকার বিতাড়িত করে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় খুব সমস্যায় পড়েছেন শিক্ষক শিক্ষিকা। যারা রয়েছে মা বাবা অসুস্থ এই টাকা দিয়েই তারা চিকিৎসা করছেন। কারো আবার বাড়ি তৈরি হয়েছিল ব্যাংকের লোন নিয়ে কিন্তু তা পরিশোধ করার বর্তমানে সম্ভব নয়।
কারণ কোন টাকায় তাদের হাতে এখন নেই। এরকম ধরনের প্রচুর প্রচুর অভিযোগ উঠে আসছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মুখ থেকে। বাধ্য হয়ে তারা মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষা মন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেও কোন সমস্যার সমাধান হয়নি। যার জন্য তারা অনশনে বসেছিল। কিন্তু রাতের অন্ধকারে সেই অনশন ভঙ্গ করার জন্য পুলিশকে পাঠানো হয়েছিল। তাদের অবস্থান মঞ্চ থেকে হটিয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এই কথা মত তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। ওই সভা থেকে তাদেরকে হটিয়ে দেয়। এখন যারা উত্তীর্ণ হয়েছিল তাদের দোষটা কোথায় ?২০১৬ সালে যে পরীক্ষা হয়েছিল সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের দলের ব্যক্তিদেরকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল স্কুলে এমনই অভিযোগ করেছিলেন তারা। সেখান থেকে এইভাবে তাদেরকেও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ।যার ফলে তারাও ক্ষুব্ধ বাংলায় এই ধরনের ঘটনা এই প্রথমবারই ঘটলো। যা কলঙ্কময় অধ্যায় শুরু হয়েছে বলে মনে করে। ওই সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা।
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলা থেকে দিব্যেন্দু গোস্বামীর রিপোর্ট